ভোলার ইলিশা ইউনিয়নের নাজমা বেগম। মেয়ের বিয়ের গহনা বানাতে স্থানীয় সুইটি জুয়েলার্সে জমা রেখেছিলেন প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণ। তবে গেল ২৫ মে থেকে উধাও দোকান মালিক সোহাগ বালা। সব হারিয়ে হাতে কাগজ নিয়ে দোকানের সামনে এই বৃদ্ধার অবস্থান।
শুধু নাজমা বেগমই নয়, এই ব্যবসায়ীর সাথে লেনদেন করে নিঃস্ব হয়েছেন ইউনিয়নের অনেকে। ভুক্তভোগীদের দাবি, শতাধিক মানুষের প্রায় ৫শ' ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫০ লাখ টাকা নিয়ে পলাতক সোহাগ বালা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মানববন্ধনসহ একাধিক কর্মসূচি করলেও মেলেনি কোনো সমাধান।
ভুক্তভোগী স্থানীয়রা জানান, বিশ্বাসকে পুঁজি করে সে যে আমাদের সাথে প্রতারণা করবে তা আমরা জানতাম না। কেউ কেউ জানান, তারা গয়না রেখে টাকা নিয়েছিল। এখন টাকা গয়না দুটোই নাই হয়ে গেছে। তাদের দাবী, গয়না হোক অথবা টাকা যেকোনো একটা হলেও ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। তারা সোহাগ বালার বিচার দাবী করেছেন।
দ্রুত ঐ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে ভুক্তভোগীদের স্বর্ণ ও টাকা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানায় জেলা জুয়েলার্স মালিক সমিতি। ভোলা জুয়েলার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ নন্দী বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো তাদের যেই প্রযুক্তি আছে এর মাধ্যমে যেভাবেই হোক তাকে যেন ধরে এনে আইনের মুখোমুখি করা হয়।’
শীঘ্রই অভিযুক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস পুলিশের। ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, ‘কেউ যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই লিখিত রাখবেন। আর যেটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এরকম প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন করবেন।’