অভিযোগ উঠেছে, গতকালের বৈঠকে থানজামা লুসাইয়ের কাছে 'বাড়তি সুবিধা' দিতে আহ্বান জানান এনসিপির নেতারা। এ সময় চেয়ারম্যান তাদের সেটা সম্ভব নয় এবং আইন অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সহযোগিতা করার কথা জানান।
পরে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে আসার পর এনসিপি নেতৃবৃন্দরা দাবি করেন, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান 'বান্দরবানে জুলাই আন্দোলন হয়নি' বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সমালোচনা হয়। এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক থানজামা লুসাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এগুলো খামোখা। আমি যেগুলো বলি নাই সেগুলো ছড়ানো হচ্ছে। আমরা জানি যে সারাদেশে ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কী আমাদের শিখাতে হবে?’
তিনি বলেন, ‘যারা কিছু পেতে চায়, কিছু টাকা চায়। এনসিপির এরা আর্থিক সাহায্য চাইতে এসেছে। আমি বললাম এরকম না, তোমরা প্রকল্প করো। আমরা প্রকল্প দিয়ে চেষ্টা করবো। তোমাদের আমি থোক বরাদ্দ দেব, তোমরা আবার অন্যদের বরাদ্দ দেবে এটা তো আইনে কুলায় না। তখন হয়ত রাগ টাগ করে আমার বিরুদ্ধে কিছু লিখেছে। আর্থিক সাহায্য চেয়েছে। যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে এখন পর্যন্ত এনসিপিতে যোগদান করেনি তাদের অবৈধ বলছে। আমি বলেছি এনসিপিতে যোগদানের জন্য তোমরা ম্যানিফেস্টো করো, ফর্ম দাও। কেন যোগদান করবে না, অবশ্যই করবে। তোমরা কেনো বাইরে রাখতে চাও? এসব ভালো কথা বলেছি।’
এ বিষয়ে জানতে এনসিপির বান্দরবান প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুর রহমান সোহেলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
তবে উপস্থিত জাতীয় যুব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আমান উল্লাহ বলেন, ‘আমরা এভাবে কোনো আর্থিক সুবিধার কথা বলিনি। আমি বলেছিলাম প্রান্তিক জনগণ সুবিধা পাচ্ছেন না, আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তালিকা দিব, ওখান থেকে যাচাই বাচাই করে সু্বিধা দিবেন।’
তিনি বলেনি, 'কথার একপর্যায়ে বলেন বান্দরবানে কোনো জুলাই আন্দোলন হয়নি, তখন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানের কথায় উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। পরে আমরা পরিস্থিতি শান্ত করে চলে আসি। চেয়ারম্যানের কথা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রোববার তিনি আমাদের ডেকেছেন, আশা করি এটার সমাধান সেখানে হবে।’
উল্লেখ্য গত ১৩ জুন বান্দরবানে এনসিপির জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।