ফরিদপুরে নদী ভাঙনের আতঙ্কে তীরবর্তী এলাকার মানুষ

নদী ভাঙনের কবলে তীরবর্তী ঘরবাড়ি, দোকানপাঠ
এখন জনপদে
0

ফরিদপুরে নদী ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে খালাসিডাঙ্গি গ্রামের মানুষরা। ফরিদপুরের সদরপুর, চরভদ্রাসন ও সদর উপজেলার পদ্মা নদী বেষ্টিত ইউনিয়নগুলোতে তীব্র আকার ধারণ করেছে ভাঙন। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, পাকা সড়ক। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। ভাঙনরোধে প্রকল্প প্রণয়ন করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

একই চিত্র খালাসিডাঙ্গি, চরহরিরামপুর, কৃষ্ণনগর, আলফাডাঙ্গা প্রতিটি গ্রামেই। এখনও ভাঙন ঝুঁকিতে শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে বিলীন হতে পারে পুরো ইউনিয়ন। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বাসিন্দাদের।

তারা জানান, বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোত বেশি থাকে, এজন্য এ দুই বা তিন মাস ভাঙন বেশি থাকে। আমরা চাই যেন আমাদের নদীতে ভাঙন না আসে। আমাদের দাবি, আমাদের ঘরবাড়ি যেন নদীতে ভেসে না যায়, আমরা যেন চরে থাকতে পারি। কিন্তু আমরা কোনো পরিবর্তনের লক্ষণ দেখছি না। প্রতিবছর বাজেট হয় কিন্তু এখানে কোনো পরিবর্তন হয় না। আমাদের ঘরবাড়ি, স্কুল, কলেজ, ফসলি জমিজমা সব ভেঙে যাচ্ছে।

চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, প্রায় ১০০ বাড়ির মতো পদ্মার ভাঙনের কবলে আছে। যদি এখনই পদ্মার ভাঙনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা তাহলে অতি শীঘ্রই এ বাড়িগুলো পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, চরভদ্রাসনের জন্য ভাঙনরোধ প্রকল্প প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দ্রুতই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘এ স্থানগুলোতে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে তার আলোকে একটা সমীক্ষা আমাদের তৃতীয় পক্ষ ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এটা সম্পন্ন করছে। খুব দ্রুত তারা আমাদের একটি রিপোর্ট দিবে। তারপর আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিতে পারবো। আমাদের কাছে মনে হয়েছে আমরা যদি পুরোদমে না করে ছোট ছোট করে কাজ করি তাহলে এটা টেকসই হবে না। এজন্য আমরা একটি স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে কাজ করছি এবং সেভাবে তীর প্রতিরক্ষা বাস্তবায়নে প্রকল্প আমাদের চলমান রয়েছে।’

পদ্মা নদীবেষ্টিত ৯টি ইউনিয়নে ঝুঁকির মুখে প্রায় হাজারো পরিবার। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।

ইএ