খুতবার বয়ানে আপত্তি, জুমার নামাজের পর মসজিদে খতিবকে কুপিয়ে জখম

মসজিদের খতিব আনম নূর রহমান মাদানী আহত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে
এখন জনপদে
2

চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজের সময় খতিব মাওলানা আ.ন.ম. নূর রহমান মাদানীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন এক মুসল্লি। আজ (শুক্রবার, ১১ জুলাই) জুমার নামাজ শেষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ইমাম বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হামলার পর মসজিদের মুসল্লিরা অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন (৫০) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তিনি শহরের বকুলতলা এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় মাল ব্যবসায়ী। আহত মাওলানা নূর রহমান মাদানী চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ গুনরাজদি এলাকার বাসিন্দা এবং মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা খতিব।

মাওলানা নূর রহমানের ছেলে আফনান তাকি জানান, জানতে পেরেছি, নবী করীম (সা.)-কে নিয়ে কোনো বক্তব্যে আপত্তি তুলে বিল্লাল হোসেন নামাজ শেষে মসজিদে ঢুকে বাবার মাথায় চাপাতি দিয়ে আঘাত করেন।

মসজিদের অপর ইমাম মাওলানা মাহবুব হাসান বলেন, ‘জুমার বয়ান শেষে বিল্লাল হুজুরের কাছে কিছু বলতে চেয়েছিলেন। মুসল্লিরা তাকে বাধা দেয়। পরে নামাজ শেষে হুজুর বের হওয়ার সময় চাপাতি নিয়ে হামলা চালান।’

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমদ কাজল বলেন, ‘কানের গোড়ালিতে চাপাতির কোপে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে। রক্তক্ষরণ অনেক বেশি হওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

হামলার বিষয়ে আটক ব্যক্তি বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে খতিব নবীজি (সা.)-কে অপমান করেছেন, তাই তাকে আঘাত করেছি।’

এদিকে, আহত খতিব নূর রহমান এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এনএইচ