নির্ধারিত সময়ে ক্যাটালগ জমা না দেয়ায় ইন্ডিগো ব্রোকার হাউজের কার্যক্রম স্থগিত করে চা বোর্ড। একইভাবে ক্যাটালগ জমা না দেয়া, রাজস্ব ফাঁকি ও দর কারসাজির অভিযোগে স্থগিত করা হয় হিমালয় ব্রোকার হাউজ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও।
বাজারের ৫টি ব্রোকার হাউজের মধ্যে সক্রিয় দুটি ব্রোকার হাউজের কার্যক্রম স্থগিত করায় বন্ধ হয়ে যায় দেশের তৃতীয় চা নিলাম বাজারের নিলাম কার্যক্রম। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সমতলের চা কারখানা মালিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। চা কেনাবেচা করতে পারছেন না তারা। এছাড়া, চট্টগ্রামের নিলাম বাজারে কেনাবেচা করতে গেলে বড় অঙ্কের পরিবহন খরচ গুণতে হয়।
তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, হিমালয় ব্রোকার হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর, চা বোর্ড জানালো দুই ব্রোকার হাউজের অনিয়মের বিষয়ে শুনানির পর নিলামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
হিমালয় ব্রোকার হাউজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুল আখতার বলেন, ‘যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমাদের দুটো অকশন বন্ধ ছিল; আসলে যে বিষয়টা ঘটে গেছে, ক্যাটালগ আমরা সময়মত আমরা ক্লোজ করি না কেন! আসলে সময়মত আমরা যদি মাল না পাই, সেক্ষেত্রে ক্যাটালগ ক্লোজ করতে আমাদের একটু সময় লেগে যাই।’
চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় খুব শিগগিরই দুই প্রতিষ্ঠানের শুনানি নেবেন। তাদের উত্তর যদি সন্তোষজনক হয়, তাহলে তাদের ব্যবসা পুনরায় শুরু করে দিতে পারেন।’
এদিকে, সমতলের চা শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই নিলাম বাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ নিলাম সংশ্লিষ্টদের।
স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবিএম আখতারুজ্জামান শাহজাহান বলেন, ‘এটা বন্ধ হয়ে যাইনি। আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আমরা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি অভয় দিয়েছেন। আশা করি শিগগিরই এটা শুরু হবে।’
এক সময় পঞ্চগড়ের গোচারণ ভূমি এখন চায়ের সবুজে ভরে গেছে। গড়ে উঠেছে ছোট বড় প্রায় ৮ হাজার বাগান। কাঁচা পাতার ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা। দ্রুত তৃতীয় নিলাম বাজারের কার্যক্রম চালুর দাবি কারখানা মালিক, চাষী ও ব্যবসায়ীদের।