গেলো ১৫ দিন ধরে জলাবদ্ধতার কবলে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর-কমলাপুর ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়ীয়া বাঁধ এলাকার মানুষ। সামান্য বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হওয়া যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনকি কিছু ঘরবাড়িতে ঢুকে গেছে ময়লা-আবর্জনার পানি। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে অন্তত ৫ শতাধিক মানুষ।
ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। জলাবদ্ধতায় এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে একটি মাদ্রাসা। তৈরি হয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
স্থানীদের মধ্যে একজন জানান, এ জলাবদ্ধতার কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। অনেকের বাড়ি-ঘরেও পানি ঢুকে তারা হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি। দৈনন্দিন কাজে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান অনেকে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী রবিউল নামে এক ব্যক্তি গেলো দুই মাস আগে খাস খতিয়ানের জমি তার নিজের দাবি করে এ এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়।
এরপর থেকেই চরম দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। তবে অভিযুক্ত রবিউল বলছেন, নিজের জায়গা হওয়ায় কালভার্টের মুখ বন্ধ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে যখন উনি বন্ধ করে দেন, তখন আমরা বলেছিলাম যে, আমাদের এলাকার পানি বের হওয়ার জন্য জায়গা রাখেন। তারা বলে— আমাদের জমি, আমরা জায়গা রাখবো না।’
অভিযুক্ত রবিউল বলেন, ‘এটা হলো আমার নিজস্ব জায়গা। আমার জায়গায় আমি বাড়ি করবো না? এ ব্রিজটা তো এখানে জোরপূর্বকভাবে করা হয়েছে। তখন নিষেধ করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমার জায়গায় আমি মাটি ফেলেছি। এ জায়গায় বিশেষ করে একটা ড্রেন লাগবে। ড্রেন হলেই আর কোনো সমস্যা হবে না। প্রতি বছরই এরকম পানি জমে থাকে।’
এরই মধ্যে জলাবদ্ধতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।
কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক ভারপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার ও প্রশাসক পৌরসভা মিজানুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত বলেছেন জায়গাটি তার। তাই বিষয়টিতে তদন্তের দরকার আছে। জায়গাটি যদি সত্যিই তার হয়ে থাকে তাহলে আমাদের অলটারনেটিভ খুঁজতে হবে হবে। তবে আপাতত এ সমস্যা সমাধানে আমরা আশপাশের ছোট ছোট নালাগুলো পরিষ্কার করে দেব।’
কালভার্টটির মুখ খুলে দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।