ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগারে আগুন, হুড়োহুড়িতে আহত ২৫ শিক্ষার্থী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তাড়াহুড়োতে আহত শিক্ষার্থী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রন্থাগার কক্ষ
এখন জনপদে
0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ (বুধবার, ৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৬ জনের নাম জানা গেছে।

এরা হলেন-রোহান (১৫), সাকেরা আক্তার (১৩), ফারিয়া সুলতানা (১৫), তানজিনা আক্তার (১৪), নূহা ইসরাত (১৪) ও ফারিয়া আক্তার (১৪)। এর মধ্যে রোহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আসন্ন বিজ্ঞান মেলাকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানাগারে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছিল। হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। শিক্ষার্থীরা আগুন নেভানোর জন্য পানি ভেবে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়।

বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড না হলেও আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে বিজ্ঞানাগার থেকে নিচে নামতে গিয়ে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে আহতদের মধ্যে কেউ অগ্নিদগ্ধ হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে কারও গাফিলতি পেলে শাস্তি দেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।

নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান মেলার জন্য তাদের প্রজেক্ট প্রস্তুত করছিল। হঠাৎ করে মাল্টিপ্লাগ থেকে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে। এ সময় আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হয়। তবে কেউ অগ্নিদগ্ধ হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, হাসপাতালে ২৫ জনের মতো শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ কেউ নেই।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে কারও গাফিলতি পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এএইচ