অর্থসংকটে বন্ধের পথে কক্সবাজার সৈকতের লাইফগার্ড কার্যক্রম

কক্সবাজার
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত
দেশে এখন
এখন জনপদে
0

লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে নিরাপদ রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে লাইফগার্ড সদস্যরা। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে আগামী সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাদের কার্যক্রম। এতে সৈকতে বাড়ছে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা।

দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে ছুটে আসা মানুষরা জানেন না, সমুদ্র কতটা ভয়াবহ হতে পারে। তাই পর্যটকদের একমাত্র ভরসা লাইফগার্ড সদস্যরা। কিন্তু পর্যটকদের প্রাণ বাঁচাতে যারা দিনরাত কাজ করছেন, সেই লাইফগার্ডদের কার্যক্রমই অর্থ সংকটে বন্ধ হওয়ার পথে।

পর্যটকেরা জানান, সমুদ্রে নিরাপত্তার জন্য তাদের ভূমিকা ব্যাপক। অর্থের কারণে তাদের ফান্ডিং যেন বন্ধ না হয় সেই দাবি পর্যটকদের।

২০১৪ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের আরএনএলআই সংস্থার অর্থায়নে সৈকতে চলছে লাইফগার্ডদের কার্যক্রম। কিন্তু দাতা সংস্থা অর্থায়ন বন্ধ করায় চলতি সেপ্টেম্বরে পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এ সেবা।

সিসেইফ লাইফগার্ড ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এখানে একশ’ জনের অধিক লাইফগার্ড দরকার। ১০-১২টি পয়েন্টে লাইফগার্ড নিশ্চিত করতে হবে। এ সেবা বন্ধ হয়ে গেলে কক্সবাজার ভ্রমণ অনিরাপদ হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:

তাদের দাবি, এখন শুধু উদ্ধারই নয়, আধুনিক সরঞ্জাম ও দ্রুত স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাও জরুরি।

সিসেইফ লাইফগার্ড ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লাইফগার্ড সাপোর্ট যেখানে নেই, তার আশেপাশে এ পর্যন্ত ৬৫ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এটি খুবই শঙ্কার বিষয়। আমাদের কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে পর্যটকদের নিরপিত্তা নিশ্চিত করতে।’

তবে দ্রুতই বিকল্প অর্থায়নের আশা দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার আছে তারা যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আউট সোর্সিংয়ের ব্যবস্থা করা যায়। এতে দাতা সংস্থা আমাদের অর্থ বন্ধ করে দিলেও সমস্যা হবে না।’

এফএস