সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু মুছা বলেন, আখাউড়া উপজেলা সদরের রাধানগর মৌজায় ১৯৯৭ ও ২০০৩ সালে সাফ কবলা দলিলের মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন তিনি ও তার ভাইয়েরা পরবর্তীতে বিএস জরিপে তাদের নামে ৬৯৯ নং বিএস খতিয়ান সৃজিত হয়। এর মধ্যে ১৬ শতাংশ জমি বিক্রি করা হলেও বাকি জমি তাদের মালিকানায় বহাল থাকে।
আবু মুছা অভিযোগ করে বলেন, তিনি প্রবাসে থাকার সময়ে স্থানীয় শান্তিবন মহাশ্মশান কর্তৃপক্ষ তাদের বিএস ৬৯৯ খতিয়ানের বিএস ১০৯২ দাগে ৪ শতাংশ ডোবা ও ১৭০০ দাগে ৬ দশমিক ৫৬ নাল ভূমিসহ মোট ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশ জমি দখল করে নেয়। দেশে ফেরার পর এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। উল্টো একটি কুচক্রী মহলের ইশারায় শ্মশান পরিচালনা কমিটি দখলকৃত জমির মালিকানা দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২০ আগস্ট আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিততে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার অধীনস্থ সার্ভেয়ার নিয়ে মাপজোক করে বিভিন্ন দাগের অন্যান্য জায়গাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি খাস খতিয়ানের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেয়া হয়। কিন্তু বিরোধপূর্ণ জায়গার বিষয়ে নিষ্পত্তি করা হয়নি।
আবু মুছার দাবি, খাজনা, নামজারি ও জমাখারিজসহ সরকারি সকল নথিপত্রেই জমিটির মালিকানা তার পরিবারের নামে বহাল রয়েছে। জমির বাকি অংশে বসতবাড়ি, বহুতল ভবন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে এবং পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্সও পরিশোধ করা হচ্ছে।
তবে শান্তিবন মহাশ্মশানের প্রধান পূজারী আশীষ ব্রহ্মচারী বলেন, ‘শ্মশান কমিটি কারও ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল করেনি বরং অভিযোগকারী শ্মশানের জমি জোরপূর্বক দখল করে আছেন।’