আজ (মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শমশেরনগর চা বাগান শ্মশানঘাট সংলগ্ন স্থান থেকে ২টি বৃহদাকার আকাশমনি গাছ কেটে নেয়া হয়।
উপজেলার শমশেরনগর-পীরেরবাজার সড়কের ধারে শ্মশানঘাট সংলগ্ন শমশেরনগর চা বাগানের সেকশন থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে দু’টি আকাশমনি গাছ কর্তন করা হয়। চা বাগান সর্দার আহাদ মিয়া কয়েকজন চা শ্রমিক দিয়ে গাছ কর্তন করেন। দু’টি গাছই বৃহৎ আকৃতির ও জীবিত গাছ। এগুলো চা গাছের ছায়াবৃক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
গাছ কর্তনের বিষয়ে আহাদ মিয়া বলেন, ‘চা বাগান ব্যবস্থাপকের অনুমতি সাপেক্ষে জ্বালানির জন্য গাছগুলো কেটে নেয়া হচ্ছে। এভাবে আরও কিছু গাছ কেটে নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চা শ্রমিক বলেন, আহাদের মাধ্যমে চা বাগানের শত শত গাছ রাতের আঁধারে কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সেকশনগুলো বৃক্ষশূন্য হচ্ছে।
পঞ্চায়েত নেতারা জানান, বাগান থেকে গাছগাছালি ও কাঁচা চা পাতা চুরি হচ্ছে। গাছ চুরি হয়ে যাওয়ায় টিলাগুলো বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়ছে। এজন্য চা গাছেও ছায়া থাকবে না। ফলে বাগানের ও শ্রমিকদের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। এসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তারা ম্যানেজমেন্টকেও বলেছেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে শমশেরনগর চা বাগানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক এম.বি.সাজ্জাদুর হক গাছ কর্তনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শ্রমিকরা জ্বালানি কাঠের জন্য মরা গাছ কাটছেন। সামনে দুর্গাপূজা আসছে, তাদের জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন থাকায় গাছ কেটে নিচ্ছেন।’ তবে জীবিত ও বৃহৎ সাইজের গাছ কাটা হলে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে রাজকান্দি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, ‘চা বাগান থেকেও গাছ কর্তন করতে হলে বনবিভাগের অনুমতি প্রয়োজন। এবিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো।’