আহতদের গতকাল রাতেই কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
শেয়ালের কামড়ে কান ছিড়ে যাওয়া সড়াইল গ্রামের আহত মফিদুল খন্দকার বলেন, ‘এশার নামাজের সময় আমাকে, তারপর ছোট ভাইয়ের মেয়েকে এবং এরপর আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কামড় দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:
আহত সড়াইল গ্রামের সাবেক কমিশনার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি ওযু করে নামাজ পড়ার উদ্দেশে মসজিদে যাওয়ার পথে হঠাৎ করে একটি শেয়াল এসে আমার মুখে আচর মেরে চলে যায়।’
আহত আওড়া গ্রামের সবুজ বলেন, ‘আমি গ্রামে বসে ছিলাম, হঠাৎ করে একটি শেয়াল আমাকে আক্রমণ করে এবং আমার ডান হাতে কামড় দেয়। গ্রামের লোক আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা ও জলাতঙ্ক টিকা দিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা আক্তার লিনা জানান, শেয়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু লোক এসেছিলেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে জলাতঙ্ক টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বড় ক্ষত হওয়া একজনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।