গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ও যুগ্মসচিব ড. শেখ মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা, ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ফরিদপুর জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা. ২ (৪) ৬৮-এ বর্ণিত পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
অনুমোদিত অ্যাডহক কমিটির গঠন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা. ১৪ (৩) অনুসরণে নিম্নরূপে নির্দেশক্রমে অবহিত করা হয়েছে। অনুমোদিত কমিটিতে স্থান পেয়েছেন জেলা প্রশাসক (পদাধিকার) এ ছাড়াও সাবেক ফুটবলার, ক্রিকেটার, ক্রীড়া সংগঠক,হকি খেলোয়াড়, ক্রীড়া অনুরাগী, ছাত্র প্রতিনিধি, স্থানীয় সাংবাদিক।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লাকে। অন্য সদস্যরা হলেন- এস এইচ এম সামসুদ্দোহা চাঁদ, মো. শরিফুল ইসলাম সোহাগ, মাহবুব উর রহমান, মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক, মো. মুসা মিয়া,মো. আব্দুল্লাহ অর্ক (ছাত্র প্রতিনিধি), মো. মফিজুর রহমান শিপন (স্থানীয় সাংবাদিক)। এই কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা (পদাধিকার)।
গত বছরের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্রীড়া সংস্থার অধিকাংশ সদস্য অনুপস্থিত থাকে। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালনের পর আগস্ট মাসে দেশের সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
ওই মাসের ২৭ তারিখ আরেক আদেশে ৭ সদস্যবিশিষ্ট বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া অ্যাডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়।
ওই আদেশ অনুযায়ী, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের মধ্যে দুইজন ক্রীড়া সম্পৃক্ত ব্যক্তি (খেলোয়াড় অথবা কোচ অথবা রেফারি), একজন স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ক্রীড়া অনুরাগী অথবা ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সম্মানিত ব্যক্তি, একজন ক্রীড়া সম্পৃক্ত অথবা সংগঠক, ছাত্র প্রতিনিধি এবং একজন স্থানীয় সাংবাদিক নিয়ে জেলা ক্রীড়া অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে হবে।