তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি সম্প্রদায় যুগের পর যুগ নানা বৈষম্যের শিকার ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমাদের সাংবিধানিক ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৩ অক্টোবর সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করছি।’
আরও পড়ুন:
৮ দফা দাবিগুলো হলো:
(১) ব্রিটিশ রচিত প্রহসনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলার শাসনব্যবস্থা চালু করা।
(২) জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকরি ও শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে রাজার সনদ বাতিল করা।
(৩) দেশের অন্যান্য জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করা।
(৪) বাজার ফান্ড প্লটের লিজের মেয়াদ ৯৯ বছরে উন্নীত করা ও বন্ধ থাকা ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালু করা।
(৫) উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় পরিবেশ-বান্ধব ইটভাটা, কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু করা।
(৬) আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যাহার করা ২৪৬টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা।
(৭) অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার-পূর্বক স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
(৮) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, দফতর সম্পাদক মো. শাহজালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আবছারসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।





