কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক (যেমন ক্লাস ও পরীক্ষা) ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষক লাঞ্ছিতের মতো একটি গুরুতর ঘটনার তিন মাস পার হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এজন্য প্রশাসনের ‘উদাসীনতাকে’ দায়ী করেন তারা।
শিক্ষকরা জানান, তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষা ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দোষীদের শাস্তি অপরিহার্য, এমনটিও জানান তারা।
এদিকে, শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ। তারা শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক মানুষ আহত হন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যকে সরিয়ে দেয় সরকার। এরপর ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে।