শিক্ষার্থীরা জানান, বিএসসি প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে চলমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গুরুতর অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেজন্য চলমান সংকট নিরসনে ডুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে আসলে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে:
১। আইইবি’র সদস্যপদ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি তার নামের পূর্বে ইঞ্জিনিয়ার উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না।
২। মেধা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যৌক্তিক উপায়ে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। এ উদ্দেশে সরকারকে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনপূর্বক ন্যায়সংগত ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৩। দেশের প্রকৌশল খাতে ভারসাম্য রক্ষার্থে বিএসসি প্রকৌশলীদের জন্য সরকারি খাতে এষ্ট্রি-পোস্ট বৃদ্ধি এবং বেসরকারি খাতে সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো ও চাকরি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। একইসঙ্গে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিয়োগ প্রক্রিয়া বহাল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:
৪। পাঁচটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট, বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট) সমন্বয়ে প্রকৌশলী পদে নিয়োগের উদ্দেশে একটি স্বতন্ত্র নিয়োগ প্রতিষ্ঠান গঠন করতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত নিয়োগ পরীক্ষায় টেকনিক্যাল বিষয়বস্তুকে মূল মূল্যায়ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে এবং একইসঙ্গে প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় নন-টেকনিক্যাল দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য উপযুক্ত অংশ সংযোজন করতে হবে, যেন নিয়োগ প্রক্রিয়া সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক হয়।
এছাড়াও সম্প্রতি ঢাকার কাকরাইলে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার এবং শাহবাগে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।