এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন, আম চাষী সোহেল রানা সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও, কৃষি অফিসার, আম চাষী ও ব্যবসায়ি, উদ্যোক্তা এবং সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত ক্যালেন্ডার থেকে জানা যায়-আগামী ২২ মে গুটি আম পাড়ার মধ্য দিয়ে আম নামানো শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ৩০ মে গোপালভোগ, ২ জুন ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর, ৫ জুন নাকফজলি, ১০ জুন ল্যাংড়া/হাড়িভাঙ্গা, ১৮ জুন আম্রপালি, ২৫ জুন ফজলি/ ব্যানানা ম্যাংগো। এছাড়া দেরীতে পরিপক্ক হওয়া আম ১০ জুলাই আশ্বিনা/বারি-৪/বারি-১১/গড়মতি/কাটিমন আম সংগ্রহ করা যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জেলায় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। যা থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর গাছে আমের পরিমাণ কম হওয়ায় ভাল দাম পাওয়ার আশা। সে হিসেবে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হতে পারে।’
নওগাঁ জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘বেঁধে দেয়া সময়ের আগে যদি কোনো জাতের আম পাকা শুরু হয় তবে চাষীরা নামাতে পারবেন। প্রয়োজনে কৃষি অফিসের প্রত্যয়ন নিয়ে নামানো যেতে পারে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে কোন ভাবেই নামানো যাবে না। তবে কোন অসাধু চাষী বা ব্যবসায়ীরা যদি নামায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’