স্থানীয়রা জানায়, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সরদার নজরুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো কিশোরী রানী। কাজে ভুলত্রুটি হলেই তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হতো।
আজ (রোববার, ৬ জুলাই) সকালে আবারো মারধর করলে পালিয়ে পাশের ফ্ল্যাটে আশ্রয় নেয় রানী। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রেশমা বেগমকে আটক করে থানায় নেয়া হয়।
পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর কিশোরী রানী নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। রানী বলেন, প্রায় ছয়-সাত বছর যাবত ওই বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছে সে।
কাজে ভুলত্রুটি হলে কিংবা কোনো কাজ ভুলে গেলে গৃহকর্তা সরদার নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী রেশমা বেগম ও তাদের বড় ছেলে বেতের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করতো। এছাড়া প্লাস দিয়ে নখে আঘাত, বৈদ্যুতিক শকও দেয়া হতো বলে জানায় সে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর পরিবার রাজশাহী থাকে। তাদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’