নিহত মাহফুজুর রহমান (২১) বরিশাল সদর উপজেলার হায়াতসার গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ব্লু ফ্যাশন এ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভার থেকে সেনা কল্যাণ ভবনগামী নামার সংযোগ রাস্তার মাঝামাঝি সড়ক ও জনপদ অফিসের সামনে পৌঁছা মাত্র অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা মাহফুজুর রহমানকে আকস্মিকভাবে আক্রমণ করে। এসময় তার ডান পায়ের উরুর পিছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করে দুষ্কৃতিকারীরা।
ঘটনার সময় ডিএমপির ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় সিএনজিতে তুলে দিলে সিএনজি ড্রাইভার তাকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভিকটিম মাহফুজুর রহমান মারা যায়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের বহনকৃত ব্যাগ যেহেতু সাথে পাওয়া গেছে তাই ছিনতাই নাকি অজ্ঞাত কোনো কারণে তিনি নিহত হয়েছেন সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে টঙ্গীর বিআরটি ফ্লাইওভারে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। শুধু রাতের বেলায় নয়, দিনে দুপুরেও ফ্লাইওভারটিতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। পুরোপুরি কাজ শেষ না করেই খুলে দেয়া অরক্ষিত ফ্লাইওভারটির অধিকাংশ স্থানে নেই সড়কবাতি, সিসিটিভি ক্যামেরা কিংবা পুলিশ বক্স।
ফলে পথচারী কিংবা বাস যাত্রীরা ফ্লাইওভারে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। ইতোপূর্বে ফ্লাইওভারটিতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে একাধিক ব্যক্তি নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছে।