স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশের মসজিদে এশার নামজ পড়ে আমিনুল হক নোমানী হুজুর বাসায় যান। বাসায় আনুমানিক ৯টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে তার পেটে, বুকে ও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রেখে যায়। এসময় তারা রোড লাইন বন্ধ করে দিয়ে যায়।
তারা জানান, পরে স্থানীয় মসজিদের ছাত্র ও মুসল্লীরা হুজুরের বাসা থেকে আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে গেলে তাকে রক্তমাখা অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর এ অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
তার স্ত্রী ও সন্তানরা তজুমদ্দিনে বেড়াতে যাওয়ায় ঘটনার সময় বাসা খালি ছিল বলে জানা যায়।
ভোলা থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে আমিনুল হক নোমানী হুজুরের বাসায় আলামত সংগ্রহের কাজ করছে। তার গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কারা, কেন তাকে হত্যা করল, তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এদিকে ভোলা সদর উপজেলা জামে-মসজিদের খতিব ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আমিনুল হক নোমানী হুজুরকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভোলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
এসময় তারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি ২০০৮ সাল থেকে ভোলা সদর উপজেলা জামে-মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।