কম দামে শীতবস্ত্র খুঁজছেন ক্রেতা

অর্থনীতি
0

রাজধানীতে শুরু হয়েছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা। কম দামে পাওয়ার আশায় অনেকে কিনছেন আগেভাগেই। ঢাকার বাইরে থেকেও আসছেন অনেকে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিশুদের পোশাকের চাহিদা বেশি।

কার্তিকের শেষে উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে কিছুটা তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। যেন শীতের আগাম বার্তা দিচ্ছে প্রকৃতি। এতে ছোট ছোট শীতবস্ত্রের দোকান বেরিয়েছে রাজধানীতে।

প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু হয় বেচাকেনার প্রস্তুতি। সন্ধ্যার পর থেকে জমে ওঠে ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক-ডাক। মিরপুর, নিউ মার্কেট ও গুলিস্তানে সবচেয়ে বেশি অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকান বসেছে, যেখানে শীতের জ্যাকেট, চাদর, হুডি, হাতমোজা ও কানটুপিসহ পাওয়া যাচ্ছে শীতের কাপড়।

কমদামে কেনার আশায় শীত বাড়ার আগেই হাজির হয়েছেন ক্রেতারা। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের পোশাক।

শীত মোকাবিলায় অনেকের প্রয়োজন হয় কম্বলের। সেজন্য ঢাকার বাইরে থেকে অনেকে এসেছেন কম্বল কিনতে। বায়তুল মোকাররম এলাকায় কম্বল কিনতে এসেছেন পটুয়াখালীর আব্দুল হান্নান।

আব্দুল হান্নান বলেন, 'গ্রামের বাড়িতে যাব, সেজন্য কম্বল কিনতে এসেছি। ঢাকায় এখনো শীত না আসলেও গ্রামে শীত এসেছে।'

এখানে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় নানা ধরনের কম্বল। কমদামে ভালো পণ্য পাওয়ার আশায় ক্রেতারা তাই ভিড় জমান এখানে।

এক ক্রেতা জানান, 'বাড়িতে যাবো সেজন্য আগেই কিনতে এসেছি। এছাড়াও শীতের মধ্যে দাম বেড়ে যায়, সেজন্য আগেই কিনতে এসেছি।'

শুরু হয়েছে পাইকারি বেচাকেনাও। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা খুচরা বিক্রেতাদের সমাগম বাড়ছে রাজধানীতে। বিক্রেতাদের আশা, শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে বিক্রি।

বিক্রেতারা বলেন, 'এখন বিক্রি মোটামুটি ভালোই হচ্ছে, আরো ১৫ দিন পর থেকে আমাদের বেচাকেনা ভালোভাবে শুরু হবে।'

রাজনৈতিক অস্থিরতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পোশাক বাণিজ্যে, দাবি ব্যবসায়ীদের।

এসএস