গত বছরের জুনে আইএমএফের কাছ থেকে তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ, যার মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা থাকলে এখনও তা মেলেনি। চলতি মাসে ঢাকায় আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সফরেও ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সদর দপ্তরে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বৈঠকেও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এতে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ।
সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা এক ব্রিফিং এ জানান, আইএমএফের সহায়তা ছাড়াই বাংলাদেশের রিজার্ভ স্থিতিশীল। তবে এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তার পাশাপাশি আইএমএফের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী সরকার।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ সরকার আসার পর আমরা কিন্তু আইএমএফ থেকে আর টাকা পাইনি। তাদেরকে বলি তোমাদের টাকা ছাড়াই তো আমরা স্থিতিশীল আছি। এখন আর আইএমএফ নির্ভরশীল আমরা না, ওইদিন চলে গেছে।’
বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে পণ্য কেনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
এদিকে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পুলিশের জন্য ২০০ পিকআপ, কক্সবাজার বিমানবন্দরের যাত্রী টার্মিনাল, গম, এলএনজি, তেলসহ বেশ কিছু ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।