বাজারে ফলের বাড়তি দরে নাকাল ভোক্তা। আমদানিত করা ফলে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে দাম। এ অবস্থায় ফলের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে মাঠে নামেন ব্যবসায়ীরা।
এরই অংশ হিসেবে পূর্বঘোষণা দিয়ে বন্দর থেকে ফল খালাস বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ২ দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব বন্দরে ফল খালাসের কার্যক্রম।
এতে ফলের বাজারে কমেছে সরবরাহ। চট্টগ্রামে ফলের পাইকারি বাজার ফলমণ্ডির চিত্র অনেকটাই নিষ্প্রাণ। অতিরিক্ত দামের কারণে বিক্রি কমে যাওয়ায় ফলমণ্ডিতে নেই আগের মতো কর্মচাঞ্চল্য। পাইকারদের আনাগোনা কমে যাওয়ায় অধিকাংশ আড়তদারকে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। এতে ব্যাপকভাবে লোকসানে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন দিয়ে লাভের দেখা মিলছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি কার্টনে আপেল, কমলা, আঙুর ও মাল্টার দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে ৭শ টাকা । কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। লোকসান এড়াতে অনেকেই বিদেশি ফল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। ৩০০ টাকার নিচে মিলছে না কোন ধরনের আমদানি করা ফল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফল আমদানিতে বিশ্বের কোথাও ১৩৬ শতাংশ শুল্ক নেয়ার নজির নেই।
ফ্রেশফ্রুটস ইমপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম বলেন, ‘এই ডিউটি প্রত্যাহার যদি না করে তাহলে আমরা আগামী ১৪ তারিখে থেকে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা বাংলাদেশে চট্টগ্রামের বন্দর ও স্থলবন্দর থেকে ফল খালাস বন্ধ করে দেয়া হবে।’
চলতি অর্থ বছরের ৬ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ফল আমদানি হয়েছে মাত্র ১ লাখ টন। একই চিত্র বেনাপোল স্থল বন্দরেও। অন্যদিকে, বাড়তি খরচের কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়েও ফল আমদানি। এ অবস্থায় বাড়তি শুল্ক কমানো না হলে আসন্ন রমজানে খেজুরসহ প্রয়োজনীয় ফলের সরবরাহ শূন্যের কোটায় নামতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।