সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ফিল্ডের এই ২ নম্বর কূপটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৮ সালে। ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কূপটির আপার গ্যাস স্যান্ড হতে বাণিজ্যিক ভাবে দৈনিক প্রায় ২৪ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন শুরু করে ।
কিন্তু গ্যাস স্বল্পতার কারণে উৎপাদনের ২৬ বছর পর ২০২১ সালে কূপটি থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। নতুন করে উৎপাদনে নিয়ে আনসার পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিত্যক্ত কূপের কাজ চলতি বছরে নতুন করে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
দায়িত্ব দেয়া হয় গ্যাস খননের কাজে নিয়োজিত দেশিয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে। ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি অনুমতি দেয়া হলে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কাজ শুরু করে বাপেক্স। সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৭১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ মাসের মধ্যেই খনন কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয় বাপেক্স। ইতোমধ্যে সফলভাবে ওয়ার্কওভার করে গ্যাসস্তরের সন্ধান নিশ্চিত করেছে বাপেক্স।
গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু করবে বলে জানায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড। এই কূপ থেকে দিনে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব বলে জানায় তারা। এছাড়া গ্যাসের সাথে দৈনিক ৭০ ব্যারেল উপজাত উৎপাদন সম্ভবও বলে জানায় তারা।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের পর সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড এর আরো একটি সফল প্রকল্প এটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই কুপে মজুদ রয়েছে প্রায় ৯৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আর এলএনজি দর বিবেচনায় উক্ত গ্যাসের মূল্য ৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।