এনবিআর আজ (বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৪ আগস্ট অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ কর বছরের ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইনে রিটার্ন চালুর প্রথম ১০ দিনে মাত্র ২০ হাজার ৫২৩ জন করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এনবিআর জানিয়েছে, দেশে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতা, শারীরিকভাবে অসক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা এবং মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি ব্যতীত সব ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। পরে ১১ আগস্ট বিশেষ আদেশে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য এ বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা যেকোনো মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে ঘরে বসেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। একই সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এবং আয়কর সনদ প্রিন্ট করা সম্ভব।
ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে করদাতা ৩১ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে আবেদন করলে অতিরিক্ত/যুগ্মকর কমিশনারের অনুমোদনের মাধ্যমে পেপার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
এনবিআর ই-রিটার্ন সংক্রান্ত সহায়তার জন্য কল সেন্টারও চালু করেছে। ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে ফোন করে করদাতারা তাৎক্ষণিক সমাধান পেতে পারেন। এছাড়া এর ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন ব্যবহার করে লিখিতভাবে সমস্যার সমাধানও পাওয়া যাবে।
এনবিআর ব্যক্তিগত করদাতাদের যথাসময়ে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করে প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শনের মাধ্যমে দায়িত্বশীল নাগরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।