বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণ।
দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এর পরপরই শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয় অফিস কক্ষগুলোতে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত তিনদিন ধরে তাদের এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো আলোচনাতেও বসেনি।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা দফায় দফায় বিভিন্ন দাবি-দাওয়া দিয়েছি। কিন্তু কোনো দাবির, কোনো দফার কর্ণপাত তিনি করেননি। তার স্বৈরাচারীতার মনোভাব তিনি পোষণ করে গেছেন।’
অন্য একজন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের সম্মতিক্রমে মরা প্রশাসনিক শাটডাউনের পথে হেঁটেছি। ভবিষ্যতে এর থেকেও কঠোর পদ্ধতি আমরা অবলম্বন করতে পারি যদি আমাদের ভিসি পদত্যাগ না করে।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় বিভিন্ন দাবি তুললেও দীর্ঘ নয় মাসেও শিক্ষার্থীদের দেয়ার কোনো দাবি বাস্তবায়ন করতে পারেননি তিনি।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রশাসনকে আজকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য মৃত ঘোষণা করেছি। তারপরও প্রশাসন এখনও আমাদের সাথে মাঠপর্যায়ে যোগাযোগ করেনি।’
পরে ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। কফিন মিছিলের মাধ্যমে মঙ্গলবারের কর্মসূচির শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রায় ১৮ দিন ধরে নানা দাবিতে আন্দোলন করছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবশেষ চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিলাম তারা। সেই চার দফা দাবি এখন পরিণত হয়েছে এক দফায়। সেটি হচ্ছে ববি ভিসির অপসারণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসি অপসারণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের।