ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উপাচার্যের বক্তব্য ভুলভাবে প্রকাশ করার প্রতিবাদ ঢাবির

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান
ক্যাম্পাস
শিক্ষা
0

ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের বক্তব্য গণমাধ্যমে ভুলভাবে প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জনসংযোগ দপ্তর। আজ (শনিবার, ২৩ আগস্ট) উপাচার্যের বক্তব্যের ভুল উপস্থাপনের প্রতিবাদস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার বক্তব্য বিকৃত করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। উপাচার্য জানান, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

আজ (শনিবার, ২৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন উপাচার্য। এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। গণমাধ্যমে তার বক্তব্যের কয়েকটি অংশ ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর উপাচার্যের দপ্তর থেকে তার দেয়া বক্তব্য হুবহু প্রকাশ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘ডাকসুর আয়োজন যেকোনো বিবেচনা চ্যালেঞ্জিং। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি, সবার জন্য ভালো পরিবেশ তৈরি করে এগিয়ে যেতে। প্রতিনিয়ত কাজ করছি। গতকাল রাতেও ইলেকশন কমিশন, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমসহ সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম, হল প্রভোস্টরাও ছিলেন। সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। বড় দাগে যে কনসার্নগুলো এসেছে সেগুলোকে আমরা এক এক করে অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি।’

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘নয় থেকে দশ মাস ধরে সবার সঙ্গে আলোচনা করার পর আমরা সবাই মিলে এগোচ্ছি। কোনো সমস্যা এলেই আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করছি। ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের মতভেদ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, যা আমাদের জন্য বিশাল শক্তি। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ নয়, পুরো জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘এ আয়োজনে যতক্ষণ সবাই আমার হাত ধরবেন, ততক্ষণ আমি মাঠে থাকব। যেখানে আমার হাত ছেড়ে দেবেন, আমি পরিষ্কার আপনাদের ডেকে বলে দেবো যে, এ জায়গাতে আমার বাধা হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। যদিও এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান কিন্তু পুরো জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা আমাদের কৃতজ্ঞতা। এই দায় কোনো ব্যক্তিগত দায় নয়। এটা একটি কালেকটিভ রেসপন্সিবিলিটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন আমাদের যেভাবে গাইড করবেন, আমরা সেভাবে কাজ করবো। আমরা এখন মূলত ইলেকশন কমিশনের অধীনে কাজ করছি। প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। তাদের যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন। আমার কথা পরিষ্কার, সকল অংশীজনের সঙ্গে ৭০টির বেশি মিটিং-আলোচনা করে আমরা এতটুকু এগিয়েছি। সবাই যতক্ষণ আমার সাথে থাকবেন, ততক্ষণ এ প্রক্রিয়া চলবে। যখন আপনি হাত ছেড়ে দেবেন, আমি সবাইকে ডেকে এনে কোন পর্যায়ে আছি সেটা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব।’—বিজ্ঞপ্তি

ইএ