ডাকসু নির্বাচন: কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে ঢাবি প্রশাসনের বৈঠক

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠক
ক্যাম্পাস
শিক্ষা
0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ (মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এ এস এম মহিউদ্দিন (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ), অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম (উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ), অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা (স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট), অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম (ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগ), অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর (বাংলা বিভাগ)।

আরও পড়ুন:

এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল তুষার, ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মো. মাসুদ আলম, এনএসআইয়ের পরিচালক ফারুক আহমদ, শাহবাগ ও নিউ মার্কেট থানার ওসি, বিএনসিসির প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ থেকেই ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখ ও ভেতরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। তিন ধাপে কাজ করছে পুলিশ। বুথ ছাড়া পুরো ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ভোট গণনাও সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে সম্পন্ন হবে।

সাইবার বুলিং বা অনলাইনে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত আইবিএ হোস্টেল, লেদার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, কবি সুফিয়া কামাল হলসহ প্রশাসনিক ও আবাসিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ।

নির্বাচনের দিন শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য নিউ মার্কেটের লেন উন্মুক্ত রাখা হবে। ভোটের দিন ২৫০ জন বিএনসিসি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন এবং সহকারী প্রক্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরাপদ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

এদিকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এ অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। জুলিয়াস সিজারের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলে সেটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে তদন্ত করে।

তদন্তে জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। যার প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল জুলিয়াস সিজারের প্রার্থীতা বাতিলের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সুপারিশ করে।

যেহেতু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা নিতে পারেন না তাই তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপনের জন্য বিষয়টি প্রেরণ করে।

বিচারাধীন থাকায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে জুলিয়াস সিজারের নামটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল সিন্ডিকেট তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সেজু