ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের বিরুদ্ধে রুমমেটকে মারধরের অভিযোগ, পুলিশে সোপর্দ

হল থেকে বহিষ্কার

হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের বাইরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, ইনসেটে জালাল
ক্যাম্পাস
শিক্ষা
1

লাইট অন-অফ করার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলের রুমমেটকে মারধর ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে ডাকসুতে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমেদের বিরুদ্ধে। মধ্যরাতে হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালকে হল থেকে বহিষ্কার ও পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রক্টর।

শুরু হয়েছে ডাকসুর নির্বাচনি প্রচারণা। প্রচারণার প্রথম দিনেই মধ্যরাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমেদ টিউবলাইট দিয়ে তার রুমমেট রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রবিউল হককে আঘাত করেন। এতে রবিউল মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল। চাওয়া হয় হল প্রভোস্টের অপসারণ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুমমেট হলেও ভিপি প্রার্থী জালাল আহমেদ ও রবিউলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাকবিতণ্ডা চলে আসছিল।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জালাল ভাই যখন হিটার চালাচ্ছিলেন তখন অনেক শব্দ হচ্ছিল। তখন রবিউল বলেন যে জালাল ভাই শব্দ কইরেন না, আমি ঘুমাবো সকালে আমাকে পড়তে যেতে হবে। তখন তাদের দুইজনের মধ্যে এ বিষয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হাতাহাতি হয়। এরপর পাশে যে রডলাইট ছিল সেটা দিয়ে জালাল ভাই রাগের বশবর্তী হয়ে তাকে আঘাত করে।’

জালালের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও হল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

প্রক্টর জানান, জালাল আহমেদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করবে। তবে তার প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তার প্রার্থিতা থাকবে কি থাকবে না সেটা নির্বাচন কমিশন তাদের বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে হল প্রভোস্ট পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন বলে জানান প্রক্টর। তবে ডাকসু নির্বাচনে এর কোন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন সা ঘটে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এএইচ