এ সময় লিখিত বক্তব্যে আয়োজকবৃন্দরা জানান, সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অ্যাডভান্সিং নলেজ অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাক্রোস ডিসিপ্লিন অ্যান্ড সোশ্যাল ট্রান্সফর্মেশন’। গবেষণাকে কেবল অ্যাকাডেমিক অর্জনে সীমাবদ্ধ না রেখে সামাজিক উন্নয়ন, জাতীয় অগ্রগতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়েই এ আয়োজন।
এছাড়াও সম্মেলনে থাকবেন ছয়শো জন গবেষক, পাঁচশো জন নিবন্ধিত দর্শনার্থী এবং একশো জন সংগঠক। পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচ দেশের দশজন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নেবেন। এতে আয়োজনটি আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
আয়োজকদের দেওয়া তথ্য মতে, সম্মেলনের জন্য জমা পড়েছিল ১ হাজার ৬০০ এরও বেশি গবেষণা অ্যাবস্ট্রাক্ট। এর মধ্যে কঠোর রিভিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩৮০টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৩ জন বিশিষ্ট শিক্ষক নিয়ে গঠিত সাইন্টিফিক কমিটি এ রিভিউ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন:
এছাড়া অনুষ্ঠিত হবে একটি বিশেষ প্যানেল ডিসকাশন ‘সেপিং দ্যা ফিইচার: রিসার্চ ফর সোস্যাল ট্রান্সফরমেশন ইন ন্যাশনাল অ্যান্ড গ্লোবাল কনটেক্স’। এতে অংশ নেবেন বিইউইটির বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ তারিক আরাফাত, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারের ড. মো. জহুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ড. নাসির উদ্দিন।
সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে বক্তব্য রাখবেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বাংলাদেশের গণিত অলিম্পিয়াড ও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অগ্রদূত হিসেবেও সুপরিচিত। তার অভিজ্ঞতা তরুণ গবেষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।
দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে থাকবে ২৫০টি ওরাল প্রেজেন্টেশন, একশোটি পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং ৩০টি থ্রি-মিনিট থিসিস প্রেজেন্টেশন। পাশাপাশি আয়োজন করা হবে বিশেষ ওয়ার্কশপ যেখানে আধুনিক গবেষণা কৌশল,অ্যাকাডেমিক লেখালেখি ও গবেষণার ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং বিষয়ে আলোচনা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রোজমেরি এভান্স।
দ্বিতীয় দিনের বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একশোটিরও বেশি প্রতিষ্ঠান সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হবে।