বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজয়ীদের প্রতি অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
গতকাল (বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটে অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচিতরা দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।’
ডাকসু নির্বাচনে ফলাফল মেনে নেয়ায় অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এ নির্বাচনের মাধ্যমে ট্যাগ দেয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয় হয়েছে।’
একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং তার টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এক পোস্টে লিখেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে কমপক্ষে ৬৭০ জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া, স্বাধীন ইউটিউবাররাও ডাকসু কাভার করেছেন।’
আরও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটাই গণতন্ত্রের রীতি।’
ভিপি সাদিক কায়েমসহ নির্বাচিত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ডাকসুকে ক্যালেন্ডার ইভেন্ট বানানোর আহ্বান জানান এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
নব-নির্বাচিত নেতারা গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় সব ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবেন বলে আশা করেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
নির্বাচনে গণতান্ত্রিক চর্চার স্বার্থে নিজের পরাজয় মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাগছাস নেতা আবু বাকের মজুমদার।
এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি শেয়ার করেছেন। নব-নির্বাচিত কমিটির কাছে আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই নির্বাচন মাইল ফলক হয়ে থাকবে প্রত্যাশা করেন তারা।