ডাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

ডাকসুর প্রথম সভা
ক্যাম্পাস
শিক্ষা
0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ (রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে। ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেল একঝাঁক প্রতিনিধি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু'র কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভায়ও হয়ে গেল রোববার সকালে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পারস্পরিক পরিচিতি হয়েছে প্রথম সভায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তার প্রতিটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম। আর দল-মত নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে সবার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ। আজ সকালে নবগঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা শেষে এসব কথা বলেন তারা।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে ওঠে প্রাণের দাবি। শিক্ষার্থীদের নানান সংকট, সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য যে নির্বাচিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধি প্রয়োজন, তার অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা থেকেছেন বঞ্চিত।

প্রথম সভায় ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ৫ জনকে সিনেট সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। শীর্ষ তিন পদে থাকা ভিপি আবু সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ ও এজিএস মহিউদ্দিন খানের সাথে আছেন পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য সাবিকুন্নাহার তামান্না। যা গেজেট আকারে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন:

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব জানান জিএস এস এম ফরহাদ। যে যে মতেরই হোক না কেন, আজ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে সবার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, ‘সিনেটে যে পাঁচজন প্রতিনিধি পাঠাবো সেক্ষেত্রে আগের অভিজ্ঞতাগুলো জানা, আগের ডাকসুগুলোতে কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে আমরা যারা আগে নির্বাচিত হয়েছে তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। সবার আলাপ শুনে যেটা মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন একজন শিক্ষার্থী থাকেন, তিনি কোন দলের, কোন মতের এগুলো কোনো ফ্যাক্টর না। জেনারেল মেম্বার হিসেবে যিনি সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছেন তাকেই আমরা পাঠাচ্ছি সিনেটে। মোট পাঁচজন থাকবেন সিনেটে।’

যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তার প্রতিটি বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘হার জিতের কিছু নেই। আমরা সবাই জিতে গিয়েছি। ডাকসু নির্বাচনে জুলাই প্রজন্ম নির্বাচিত হয়েছে। আমরা নির্বাচনের আগে যেভাবে সকল শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়েছিলাম, এখনো আমরা চেষ্টা করবো সবার রুমে রুমে গিয়ে তাদের কথা শোনার।’

সাদিক কায়েম আরও বলেন, এখানে হার বলতে কিছু নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থী জিতেছে এই ডাকসুর মধ্য দিয়ে।

ইএ