রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নেমে যেতে শুরু করেছে পাহাড়ি ঢলের পানি। প্রায় এক সপ্তাহের টানা বর্ষণ শেষ মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর থেকে কমে এসেছে বৃষ্টিপাত। তবে এখনও জেলার ৫ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত রয়েছে। এতে দুর্যোগ কবলিত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৬৫ জন। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত না হওয়ায় আপাতত স্বস্তি মিলেছে জনমনে।
দুর্যোগে পড়া বাসিন্দাদের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের চলছে ত্রাণ তৎপরতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
গেল ২৮ মে থেকে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দুই দফায় দেয়া হয় পাহাড় ধসের সতর্কবার্তা। এতে স্থানীয় প্রশাসনও হয়ে উঠে তৎপর। কিন্তু পাহাড় ধসের ঝুঁকির মধ্যেই গেল রোববার বিকেল থেকে বৃষ্টি আর ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢলে জেলার ৫ উপজেলায় দেখা দেয় বন্যা পরিস্থিতি।
বিশেষ করে বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ।
আকস্মিক এই ঢলের পানিতে অভ্যন্তরীণ সড়ক, বসতবাড়ি, কৃষকের বীজতলা ও শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলার ১০ উপজেলায় ৫৪০ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ পেয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালায় উপজেলা প্রশাসন।
তবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসায় ঢলের পানি নেমে যেতে শুরু করেছে কাপ্তাই হ্রদে। এতে এখনো ৫ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের পানিবন্দী ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। নতুন করে বৃষ্টিপাত না হলে দ্রুতই উন্নতি হবে বন্যা পরিস্থিতির। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় খুশি ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি-জনসংখ্যার আধিক্য বিবেচনায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের।