সাড়ে ১২ হাজার বছর পরে ফিরে এলো ডায়ার উল্‌ফ

ফিচার
0

এক দশক আগে ড্রামা সিরিজ় 'গেম অফ থ্রোনস' বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল 'ঘোস্ট'কে। এবার জিন প্রযুক্তিবিদ্যা বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কল্যাণে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার বছর পরে পৃথিবীতে ফিরে এল সেই 'ডায়ার উল্‌ফ'। বাস্তবে যা একটি বিশেষ প্রজাতির সাদা নেকড়ে। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম, অ্যায়োনোসিয়ন ডায়রাস।

বরফের মতো সাদা শুভ্র লোমে আবৃত ভয়ঙ্কর সুন্দর নেকড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপদ কোনো এক স্থানে খেলছে, বরফে গড়াগড়ি খাচ্ছে, গর্জন করছে আর দৌড়ে বেড়াচ্ছে ওরা। অথচ শ্বেতশুভ্র এই নেকড়ে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ১০ হাজার বছর আগে। মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি কোলোসেল বায়োসায়েন্সের দাবি, শ্বেতশুভ্র নেকড়ের ডিএনএ সংগ্রহ করে ধূসর নেকড়ের জিনগত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিলুপ্ত হওয়া এই প্রাণী পৃথিবীর বুকে ফিরিয়ে এনেছে তারা।

জিন প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে তারা বিশ্বের প্রথম 'ডি-এক্সটিঙ্কশন' বা বিলুপ্ত প্রাণী পুনরুদ্ধারের কাজে সফল হয়েছেন। পরীক্ষাগারে তিনটি ডায়ার উলফের শাবকের জন্ম হয়েছে। নেকড়ের দুই বাচ্চা রমুলুস ও রেমুসের ভিডিও প্রকাশ করেছে কলোসেল।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৩ হাজার বছর পুরনো সাদা নেকড়ের দাঁত থেকে ও ৭২ হাজার বছর বয়সী সাদা নেকড়ের কানের জীবাশ্ম থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে সফলভাবে দু'টি বাচ্চার জন্ম হয়। জীবিত ধূসর নেকড়ে থেকে রক্তকণিকা নিয়ে জিনগতভাবে সেগুলোকে সংস্করণ করা হয়। এরপর সারোগেসির মধ্য দিয়ে দুই মাস পর সাদা দুই নেকড়ের জন্ম হয়। তবে নেকড়ে নয়, ডায়ার উলফ ভ্রূণের 'গর্ভধারিণী' বা সারোগেট মাদার হিসাবে বেছে নেয়া হয় কুকুরকে।

তিন থেকে ছয় মাস বয়সী সাদা লোমের এই নেকড়ের বাচ্চাগুলোর ওজন ৮০ পাউন্ড। বিলুপ্ত হওয়া প্রজাতির নতুন সংস্করণের লোমগুলো ধূসর নেকড়ের তুলনায় বেশ বড়। তবে বাবা আর মা নেকড়ের সঙ্গে শিকার করার সুযোগ না থাকায় এরা কখনোই জীবিকার জন্য বড় কোনো জন্তুর শিকার করতে পারবে না।

কিন্তু এই কষ্টের সার্থকতা মোটেও প্রমাণ করে না, উত্তর আমেরিকার মাঠগুলো দ্রুতই দাপিয়ে বেড়াবে এই ডায়ার উলফ। এগুলো বহু আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এসএস