‘সুগন্ধিযুক্ত’ স্যানিটারি ন্যাপকিনে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

সুগন্ধিযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন নারীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
স্বাস্থ্য
0

দেশের ৭১ শতাংশ নারী নিয়মিত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন না। আর ৯৭ শতাংশ মেয়ে কোনো না কোনো সময় সার্ভিক্স সংক্রমণে ভোগেন। অস্বাস্থ্যকর কাপড়, তুলা বা রাসায়নিক সুগন্ধিযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার নারীদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ জরিপে মিলেছে এমন তথ্য।

এ ছাড়া, অধিকাংশ স্কুল-কলেজে নারীবান্ধব টয়লেট না থাকার পাশাপাশি সুগন্ধিযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার ক্রমশই নারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। নারীদের এই সময়টাকে সুরক্ষিত এবং সহজ করার জন্য সারা বছরই ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

বয়ঃসন্ধিতে প্রবেশে একজন কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি হয় মানসিক এবং আচরণগত পরিবর্তন। শারীরিক এমন নানা পরিবর্তনে সদ্য বয়ঃসন্ধিতে পা দেয়া মেয়েদের গুটিয়ে রাখার প্রবণতা যেন আরো বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮ এর প্রতিবেদন অনুসারে, ঋতুকালীন গড়ে ৪০ শতাংশ ছাত্রী স্কুলে ৩ দিন অনুপস্থিত থাকে। এর প্রধান কারণ অধিকাংশ স্কুল-কলেজেই নেই নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা আবার যে স্কুলগুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে সেগুলোও অধিকাংশ সময় নষ্টই পড়ে থাকে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে ছাত্রীরা।

একটা সময় ফার্মেসিতে গিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে সংকোচবোধ করলেও এখন সে চিন্তা থেকে বের হয়ে এসেছে অনেকেই। তবে কর্মক্ষেত্রে একজন নারীর এই সময়টা এখনো সহজ হয়ে উঠেনি। আর এই সময়টা যেনো আরো কঠিন নারী সাংবাদিকদের৷ রিপোর্টিংয়ের জন্য দীর্ঘ সময় বাইরে থাকলেও নেই নারীবান্ধব টয়লেট ব্যবস্থাপনা৷ বাধ্য হয়ে পরে থাকতে হয় একই স্যানিটারি প্যাড।

পিরিয়ড একটি প্রাকৃতিক নিয়ম হলেও সেটিকে এখনো সাংস্কৃতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করে নানাভাবে ট্যাবু করে রাখা হয়। নারীদের এই সময়টাকে সুরক্ষিত এবং সহজ করার জন্য সারা বছরই ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ সমাজ বিশ্লেষকদের৷

কর্মক্ষেত্রসহ নানা ক্ষেত্রে মেয়েরা এগুলে ও নিজেদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ইএ