২০১৯ ও ২০ সালে করোনা আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেন স্বল্পতায় হাসপাতালের আঙ্গিনাতেই ঝরেছে অনেক প্রাণ। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারও করোনার শঙ্কা পেয়ে বসেছে রাজশাহীতে।
গত ২১ মে থেকে এক সপ্তাহে এক হাসপাতালেই কর্মরত নয় জন চিকিৎসকসহ ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গেল সোমবারেই (২ জুন) ল্যাবটেস্টে নয় জনের করোনা ধরা পড়ে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শারমিনা আফতাব বলেন, ‘নির্দিষ্ট প্রতিষেধক, প্রতিরোধ, চিকিৎসা সবকিছু গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে প্রতিটা স্টেপ ফলো করতে হবে।’
দীর্ঘদিন পর করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তাই নড়েচড়ে বসেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জ্বর-সর্দি বা হাঁচি-কাশি হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। অবহেলার চেয়ে সতর্কতায় গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, ‘বদ্ধ বা জমায়েতে যেন সবাই মাস্ক পড়ে। এটা সবারই নৈতিক দায়িত্ব। যেহেতু এতে সরকারি আদেশ বা নিষেধাজ্ঞা নেই তবুও অন্তত নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটা সারজিক্যাল মাস্ক যেন সবাই পড়ে।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলন, ‘এখনও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয় নি। তবে আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’
উপসর্গ থাকলে দ্রুত টেষ্ট করাতে সক্রিয় রয়েছে মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজী বিভাগ। আর করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে না থাকলেও পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মুখপাত্র। এরই মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রস্তুত রাখা হয়েছে করোনা বিষয়ে প্রশিক্ষিত জনবল।
উল্লেখ্য, গেল মাসে করোনার আক্রান্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এরপর গেল ২১ তারিখ থেকে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।