ফেসবুকের এই পোস্ট থেকেই মূলত নতুন করে করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়ায়। কোনো যাচাই-বাচাই বা নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়াই গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন পেজ, ব্যক্তি ও তারকাদের ওয়াল থেকেও শেয়ার হয় এই পোস্ট। এমনকি, গত ৯ জুন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ফেসবুক পেজেও হুবহু তুলে দেয়া হয় এই সতর্কতা বার্তা।
অসমর্থিত সূত্রের এমন পোস্ট শেয়ার দেয়ায় শুরু হয় সমোলাচনা। অনেকেই দাবি করেন, ভারতে ভাইরাল হওয়া ইংরেজি একটি পোস্টের হুবহু বাংলা অনুবাদ। যা ফেক নিউজ বলে সতর্ক করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
করোনার এ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রামের করোনা বিশেষজ্ঞ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও করোনা বিশেষজ্ঞ মো. আবদুর রব মাসুম বলেন, ‘যে কথাগুলো বলা হচ্ছে এটার সত্যতা কতটুকু এটা কিন্তু আমরা নিজেরাই যাচাই করতে পারি। ফেসবুক এমন একটি জায়গা, এখানে যাচাই ছাড়া কোনো নিউজ বিশ্বাস করা উচিত নয়। এটা এমন একটা মাধ্যম, এখানে যে কেউ যে কোনোভাবে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের যেই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা নিয়ে এখনও কোথাও কোন মহামারি হয়নি, বাংলাদেশে ও হবে বলে আমি মনে করি না। কারণ, এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রামক হার বেশি থাকলেও এর ভয়াবহতা এত বেশি না। সুতরাং এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এত আতঙ্কিত না হয়ে বরং সচেতন হই সবাই।’
২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম অমিক্রন শনাক্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত ছাড়ানোর ক্ষমতা থাকলেও ডেল্টার মতো প্রাণঘাতী বা ভয়াবহ না।
তবে, এই ধরনটি কম প্রাণঘাতী হলেও এটিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ করোনার যে কোনো ধরনই বয়স্ক বা জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য শঙ্কার। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) পর্যন্ত নগরে মাত্র ৮ জন করোনার এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।