দুবাইয়ে শুরু হয়েছে ৩০তম গাল ফুড মেলা। পাঁচ দিনব্যাপী এবারের আসরে অংশ নিয়েছে বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশের সাড়ে ৫ হাজারের বেশি খাদ্যপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন প্রতিষ্ঠান। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর আয়োজনে ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবারের মেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে ৪১টি প্রতিষ্ঠান ও ৭৩ জন এক্সিবিটর।
২০১৪ সাল থেকে এই মেলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্বস্ত ভোগ্য পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। বর্তমানে ৩০টির বেশি দেশে পৌঁছে গেছে সিটি গ্রুপের পণ্য।
সিটি গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর লুৎফুল কবির শাহীন বলেন, ‘আমরা ২০১৪ থেকে বিভিন্ন দেশের রপ্তানি শুরু করি। এ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।’
মেলায় অংশ নিয়ে প্রিমিয়াম বিস্কুট, বিশ্বমানের চা সহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করছে সিটি গ্রুপ। কর্মকর্তারা জানান, পণ্যের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের মন জয় করতে বদ্ধপরিকর প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি নতুন অংশীদারত্ব গড়ে তোলা ও প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক পরিসর সম্প্রসারণেও চলছে কার্যক্রম।
সিটি গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর লুৎফুল কবির শাহীন বলেন, ‘প্রিমিয়ার পণ্য নিয়ে গত বছর চমৎকার সারা পেয়েছি, এবার আরো একটু এগিয়ে ইনগ্রিডিয়েন্স ও গুণগত মান আরো ভালো করা চেষ্টা করেছি।’
ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পাশাপাশি নতুন পণ্য সম্পর্কে জানতে মেলায় হাজির হয়েছে বিভিন্ন পরিবেশক প্রতিষ্ঠান। এতে করে পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ পাচ্ছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, খাদ্যপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলেছে গাল ফুড মেলা।
কৃষি পণ্যের আমদানি-রপ্তানি ও ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে আরো নমনীয় হবারও আহ্বান ছিল ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কণ্ঠে। এদিকে বাংলাদেশি প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন শেষে বিশ্ববাজারে দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা তুলে ধরেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর শীর্ষ কর্মকর্তা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আশা করছি এবার ১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারব।’
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ সভাপতি সৈয়দ শোয়াইব হাসান বলেন, ‘ ইপিবিকে আরেকটু স্ট্রং হতে হবে। আমাদের নেগোসিয়েশন পাওয়ার বাড়াতে হবে। মেড ইন বাংলাদেশকে ডেভেলাপ করতে হবে। এটা ছাড়া আমরা সেল করতে পারব না।’
দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে পাঁচ দিনব্যাপী গাল ফুড মেলার পর্দা নামবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি।