মূলত দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা প্রদান সহজ করতে দূতাবাস প্রতিষ্ঠার দাবি বহুদিনের।
২০১৭ সাল থেকে আয়ারল্যান্ডে একটি দূতাবাস করা নিয়ে আলোচনা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আয়ারল্যান্ডে একটি স্থায়ী দূতাবাস প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
আয়ারল্যান্ড পোর্টিউনকুলা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিকেল ফিজিশিয়ান ডক্টর মুসাব্বির হোসাইন রুবেল বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড একটি টেকনোক্রেট হাব। এখানে সব মাল্টি ডিসিপ্লিনারি এবং বিভিন্ন রকম টেকনিক্যাল কোম্পানিগুলো আছে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও ইঞ্জিনিয়াররা আসতে পারে, যদি আমাদের এখানে দূতাবাস স্থাপন হয়।’
দূতাবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি হবে। আইটি, ফার্মাসিউটিক্যালসহ উন্মোচিত হবে ব্যবসায়িক বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার দুয়ার।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশি হাই কমিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করে আসছেন আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা।
আয়ারল্যান্ড অল বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল হক জুয়েল বলেন, ‘আমাদের এখানে পাসপোর্ট সার্জারি, নো ভিসা রিকুয়্যার্ড সার্টিফিকেট— এগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের দরকার। আশা করবো আয়ারল্যান্ডে একটি দূতাবাস স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
আয়ারল্যান্ড গলওয়ের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জসিম উদ্দিন দেওয়ান বলেন, ‘যারা আমরা ব্যবসা করছি, আমাদের জন্য একটি দূতাবাস খুবই প্রয়োজনীয়। এটা যত দ্রুত হবে, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল হবে।’
আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপন উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং প্রবাসী-অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক রপ্তানিতেও ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে পাসপোর্ট ও সার্টিফিকেট সংক্রান্ত জটিলতা কমবে বলে জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ৮০টিরও বেশি কূটনৈতিক মিশন পরিচালনা করে, যার মধ্যে প্রায় ৫৮টি দূতাবাস বা হাইকমিশন এবং প্রায় ২০টি কনস্যুলার মিশন রয়েছে।