বিভিন্ন সময়ে নানা ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ্লিকেশন ব্লক বা ব্যান করার কারণ হিসেবে নানান সময়ে নানান কারণ দর্শানো হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ভূরাজনৈতিক ও জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক কারণেই মূলত এগুলো ঘটে থাকে।
সর্বশেষ গত বুধবার (১৩ আগস্ট) রাশিয়া হোয়াটসঅ্যাপের কিছু কল লিমিটেড করার মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন ব্লক বা ব্যান করার সর্বশেষ দেশ হয়ে উঠেছে। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ অভিযোগ এনেছে ‘মেটা’ মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি জালিয়াতি এবং সন্ত্রাসবাদের মামলায় তথ্য ভাগাভাগি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কমপ্লিট ব্লক বা ব্যান করা দেশের মধ্যে সবার আগে আসে চীন ও উত্তর কোরিয়ার নাম। চীন ২০১৭ সালে হোয়াটসঅ্যাপ ব্লক করা শুরু করে, পাশাপাশি বিদেশী সার্ভারের সঙ্গে ট্র্যাফিক ফিল্টার এবং ব্লক করার জন্য তারা তথাকথিত গ্রেট ফায়ারওয়াল ব্যবহার করে। চীনা ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপের বদলে উইচ্যাট নামক একটি বিকল্পের উপর নির্ভর করে।
উত্তর কোরিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ সাধারণত অ্যাক্সেসযোগ্য নয়। কারণ ২০১৬ সাল থেকে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এ দেশটিতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১৭ সাল থেকে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল ভিওআইপি সার্ভিস অর্থাৎ বিনামূল্যে ইন্টারনেট টু ইন্টারনেট ভয়েস ও ভিডিও কল ব্যবহার করে এমন বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করেছে। তবে ভিওআইপি টেক্সট মেসেজিং করতে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
কাতার, মিশর জর্ডানও স্পষ্টভাবে হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ করেনি তবে ভিওআইপি কলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিং এখনও কাজ করে।