পর্তুগিজ রূপকথায় ছিল কাজুবাদামের ফুল আর রাজকন্যার গল্প। সে গল্পে তুষারাবৃত মাতৃভূমি থেকে দূরে থাকা এক রাজকন্যার দুঃখ লাঘব করতে প্রাসাদ ঘিরে লাখ লাখ কাজুবাদামের গাছ রোপণ করেছিলেন রাজা। বসন্তে শরতের মেঘের মতো কাজুবাদামের সাদা ফুলের মিছিলে দুঃখ ভুলেছিল রাজকন্যা।
পর্তুগালে না হলেও ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনে রূপকথার গল্পের মতোই অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে মৌসুমের আগেই দেখা দিয়েছে কাজুবাদামের ফুল। স্থানীয়দের পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকেও দর্শনার্থীরা আসছেন বাদামের সাদা ফুলের মেলা দেখতে, ছবি তুলতে।
দর্শনার্থীদের বলেন, ‘আমি এতো খুশি! যখনই ফুল, মৌমাছি, পোকামাকড় দেখছি, মন ভরে যাচ্ছে। এসব দেখতেই এখানে এসেছি।’
আরেকজন বলেন, ‘বাদাম গাছ থেকে তেমন ঘ্রাণ পাওয়া যায় না। কিন্তু তাকালেই মন ভরে যায়। আর এখানে তো অনেক প্রাচীন বাদাম গাছও আছে যেগুলো প্রকাণ্ড আকৃতির। তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছে করে।’
জানুয়ারির শেষভাগেই উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে পাপড়ি মেলেছে কাজুবাদামের বসন্তের ফুল। অথচ শীতের মৌসুম এখনও শেষ হয়নি দেশটিতে।
স্পেনের আরবিকা পরিবেশ বিভাগের প্রধান ফ্রান্সিস রসেট বলেন, ‘ফুল ফোটার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি সম্পৃক্ত। কয়েক দশক শীতের মৌসুমে তীব্র ঠান্ডা আর কুয়াশার দেখেছি আমরা। অথচ আজকাল এ অঞ্চলে শীতে বসন্তের অনুভূতি মিলছে।’
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মৌসুমের অনেকটা আগে স্পেনে ফুটেছে কাজুবাদামের ফুল। ১৯৮১ সাল থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য রেকর্ড করতে শুরু করে স্প্যানিশ পরিবেশ বিভাগ। শেষবার ১৯৯৩ সালে ৮ জানুয়ারি প্রত্যাশিত সময়ের আগে দেখা দিয়েছিল মৌসুমি এ ফুল।