ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগে এক পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, জেলেনস্কি চাইলে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ হবে। তবে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ন্যাটোতে যোগ দেয়া হবে না ইউক্রেনের।
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের পর ওভাল অফিস থেকে অপমানিত হয়ে ফিরতে হয়েছিলো জেলেনস্কিকে। কোন ধরণের সমাধানে পৌঁছাতে না পেরে তুমুল তর্কে জড়িয়েছিলেন এই নেতা। আবারও সেই ওভালে বিশ্ব মোড়লের সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের পর এই আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। আপাতদৃষ্টিতে আলাস্কা বৈঠকে সমাধান না মিললেও কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্বমঞ্চে রাশিয়ার অবস্থান আবারও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৈঠক হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প-জেলেনস্কির এবারের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দেইর লায়েন, ন্যাটো সেক্রেটারি মার্ক রুট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেক্সেন্ডার স্টাব।
জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই ইউরোপীয় নেতাদের স্বাগত জানাবেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার ভোর ৪ টার দিকে জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বহুপাক্ষিক বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে ট্রাম্প-জেলেনস্কির এবারে বৈঠক আশার আলো দেখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।\
আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘সোমবার সারাদিন ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা হবে। ইউক্রেনীয়রা কী চায় সুনির্দিষ্টভাবে তা তুলে ধরবেন। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থাকবে। ভবিষ্যতে ইউক্রেনীয়দের নিরাপত্তা জোরদারে কী করতে হবে সে বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।’
ট্রাম্প-জেলেনস্কির এবারের আলোচনা গুরুত্ব পাবে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে অঞ্চল বিনিময় ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা ইস্যুতে। এর আগে ইউক্রেনের দোনবাসের দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সরিয়ে নিতে হবে বলে শর্ত দেন পুতিন। বিনিময়ে ঝাপোরিঝিয়া ও খেরসনের সম্মুখসারিতে যুদ্ধ থামাবে মস্কো। তবে পুতিনের এ প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি।
বৈঠকের বসার আগেই শান্তিচুক্তিতে রাজি হতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিতে শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, জেলেনস্কি চাইলে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ হবে। তবে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ন্যাটোতে যোগ দেয়া হবে না ইউক্রেনের। ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগে এ পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প।বলেন, ক্রিমিয়াকে যেভাবে মস্কোর হাত থেকে উদ্ধার করা যায়নি তেমনি ইউক্রেনেরও ন্যাটোতে যোগ দেয়া হবে না।