ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ তুঙ্গে। বহুদিন ধরেই এ অঞ্চলে আধিপত্য বাড়াতে চাইছে মার্কিন সরকার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ স্বপ্ন পূরণে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এ অঞ্চলের দুই দেশ রাশিয়া ও চীন। এ পরিস্থিতিতে বন্ধুত্বের হাত আরও মজবুত করছে এ দুই পরাশক্তি।
মঙ্গলবার চীনের বেইজিংয়ে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেসময় রাশিয়া-চীন সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান পুতিন। এমনকি জিনপিংকে বন্ধু বলেও সম্বোধন করেন তিনি। জানান, বেইজিংয়ের সঙ্গে মস্কোর বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো, সামনের দিনগুলোতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘প্রিয় বন্ধু, আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমিসহ রাশিয়ার সব প্রতিনিধি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন:
অপরদিকে শি জিনপিং জানিয়েছেন, রাশিয়ার অবকাঠামোগত উন্নয়নে মস্কোর সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে চায় বেইজিং। সেসময় বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে মার্কিন শুল্ক মোকাবিলায় রাশিয়ার অবদানের জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শি-পুতিন বৈঠকে আলোচনা হয় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও। এ যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেন এই দুই নেতা। বৈঠক শেষে এক সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন পুতিন ও শি জিনপিং।
এসসিও সম্মেলন ও চীনের স্বাধীনতা দিবসে অংশ নিতে ৪ দিনের সফরে চীনে অবস্থান করছেন পুতিন। এ উপলক্ষে আগামীকাল প্যারেডে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার। যেখানে উপস্থিত থাকবেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনসহ অন্তত ২৬টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।