ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গতকাল (বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জেনারেশন জি’র তরুণ বিক্ষোভকারীরা সরকার পতনের পর দেশের ভবিষ্যত ও প্রজন্মের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বা দলের জন্য নয়, এটি দেশের নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য।
আরও পড়ুন:
বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবিগুলো হলো: বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়া, জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে সংবিধান পুনর্লিখন বা সংশোধন। অন্তর্বর্তীকাল শেষে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীন ও সুষ্ঠু প্রশাসনিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করা। সরাসরি নির্বাচিত নির্বাহী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। গত তিন দশকের লুট হওয়া সম্পদের তদন্ত এবং অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রীয়করণ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ খাতে কাঠামোগত সংস্কার। বিক্ষোভে নিহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহিদ হিসেবে স্বীকৃতি এবং তাদের পরিবারের সহায়তা। বেকারত্ব হ্রাস, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোর থেকেই সেনাবাহিনী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে মোতায়েন হয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সোমবারের বিক্ষোভে অন্তত ২০ জন নিহত হওয়ার পর জনমতের চাপ ও সহিংসতা বৃদ্ধির কারণে প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন:
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কিছু নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে। এছাড়া, বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।