কার্নির ছোট মন্ত্রিসভা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা

কানাডার নতুন মন্ত্রিসভা
উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

নতুন মন্ত্রিসভা আকারে ছোট করলেও, জি সেভেনভুক্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোবে কানাডা। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানান, আপাতত জনগণের মাথার ওপর থেকে অতিরিক্ত করের বোঝা দূর করতে চান তিনি। তবে এইটুকু মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে জাস্টিন ট্রুডোর মতো কার্নিও ব্যর্থ হবেন বলে মন্তব্য বিরোধীদের।

গেলো মাসে নির্বাচনে জয়ের পর গতকাল (মঙ্গলবার, ১৩ মে) রাজধানী অটোয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেন মার্ক কার্নির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। যেখানে বেশিরভাগই নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। ছোট এই পরিষদে ২৮ জন ঠাঁই পেয়েছেন।

মেলানিয়া জোলিকে পররাষ্ট্র থেকে সরিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার জায়গায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ। ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে মত বিশ্লেষকদের।

মার্ক কার্নির দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তাকে মন্ত্রিসভায় রেখে পরিবহন মন্ত্রণালয় দেয়া হয়েছে আবারও। নয়া মন্ত্রীদের শপথ শেষে বক্তব্যে মার্ক কার্নি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুর সমাধান করতে কাজ করবেন তারা। পাশাপাশি পহেলা জুলাই থেকে ১০ প্রদেশের মধ্যে বাণিজ্যে থাকছে না কোনো অভ্যন্তরীণ শুল্ক।

মার্ক কার্নি বলেন, ‘কানাডিয়ানরা এই সরকারকে নির্বাচিত করেছে শক্তিশালী সমর্থন দিয়ে। তাদের চাওয়া নতুন অর্থনীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার। জনসাধারণ জীবন-যাত্রার ব্যয় হ্রাস চায়।’

যদিও এই মন্ত্রিসভাকে অনেকটাই জাস্টিন ট্রুডোর আমলের মতোই বলছেন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পলিয়েভ। ভোটে হেরে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে এসে বক্তব্যে জানান, তিনি ও তার দল মোটেই আশাবাদী নয় যে, এই মন্ত্রিসভা কোনো ভালো ফলাফল বয়ে আনবে।

গেলো ২৮ এপ্রিল ফেডারেল নির্বাচনের পর গত সোমবার (১২ মে) হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মার্ক কার্নির বৈঠক হয়। যেখানে কার্নি ও ট্রাম্প তাদের নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। ট্রাম্প আবারও কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিলে, কার্নি সরাসরি জানান, কানাডা বিক্রির জন্য নয়। তিনি স্পষ্ট শুল্ক প্রত্যাহার চান।

এসএস