ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম ইলিয়াস পহলান। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের আবুল হোসেন পহলানের ছেলে। ফাঁসির রায়ের সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, মামলার বাদীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও কুপিয়ে আহত করায় দশ বছরের সাজা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা শিপু। তিনি ফাঁসির রায়কে একটি দৃষ্টান্তমূলক হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এ রায় সমাজের অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনবে।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামে বসবাসরত নিজ শ্যালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করতেন তার দুলাভাই ইলিয়াস।
২০২৩ সালের ৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাতে খাবার খেয়ে তিন বছরের শিশুকন্যা ও প্রতিবেশী এক শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মামলার বাদী। শাশুড়ির অনুপস্থিতির সুযোগে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে ইলিয়াস তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দেন ভুক্তভোগী ঐ নারী।
একপর্যায়ে ঘরে থাকা দা উঁচিয়ে ইলিয়াসকে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এ সময় ইলিয়াস হাত থেকে দা কেড়ে নিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পাশে ঘুমানো প্রতিবেশীর ১০ বছর বয়সী শিশু জেগে উঠে ইলিয়াসকে বাঁধা দেয়। তাকে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে ইলিয়াস। পরে ওই নারীর তিন বছরের শিশুকন্যাকেও কুপিয়ে সে পালিয়ে যায়।
সকালে স্থানীরা দশ বছরের শিশুর মরদেহ এবং ওই নারী ও তার মেয়েকে জখম অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং মা ও শিশুকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন বছরের শিশুটির মৃত্যু হয়।