আজ (বুধবার, ২৭ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার রিমান্ড ও জামিন শুনানির সময় এসব কথা বলেন তিনি। আদালতের কাছে তিনি যেকোনো শর্তে জামিনের আবেদন জানান।
জালাল বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ হয়ে গেছে, তাকে হল ছাড়ার কথা ছিল, কিন্তু সে যাচ্ছে না। এজন্য আমি হাইকোর্টে একটি রিটও করেছিলাম। সে আমার ওপর হামলা করেছে। আমি নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ করেছি। সে নিজের অজান্তেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’
তবে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
জালালের পক্ষে আইনজীবী মো. জায়েদুর রহমান আদালতে বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দূরে রাখতেই জালালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করা হয়েছে। এফআইআরে কাঠ দিয়ে আঘাতের কথা বলা হয়েছে, কোথাও ছুরির উল্লেখ নেই। এটি একটি নাটক।’
অন্যদিকে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রবিউল হক দাবি করেছেন, জালাল তাকে টিউবলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন, এতে তিনি গুরুতর জখম হন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ জালালকে পুলিশে সোপর্দ করে।
ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালালের বিরুদ্ধে সহপাঠী ও রুমমেটের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়টি এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।