তবে ঈদ পরবর্তী বাজারের স্বস্তি ছড়াচ্ছে সবজির দাম। কয়েকটি বাদে বেশির ভাগ সবজিই পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহর তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় সবজির দাম কম। আর ক্রেতারা বলছেন, সারা বছরই চান এমন স্থিতিশীল বাজার।
বিক্রেতারা জানান, মটরশুঁটি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা। সব জিনিসপত্রের দামই ৪০ থেকে ৫০ এর ভেতর। এর উপরে কোনো জিনিসের দাম নেই।
ক্রেতারা জানাচ্ছেন, এখন আর কোন সিন্ডিকেট নেই। সিন্ডিকেট থাকলে দাম এত কম হত না। সারাবছর এমন থাকলে তো সুবিধা। সাধারণ জনগণের জন্য ভালো হয়।
এদিকে, স্বস্তি রয়েছে মুরগি ও ডিমের বাজারেও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় ও সোনালি মুরগির বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিম কেনা যাচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম এখন কম আছে। এখনও বাজার পুরোপুরি চালু হয়নি।
ক্রেতারা জানান, সবাই চায় দাম কমে আসুক। সব শ্রেণির মানুষ যেন তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। দাম আসলেই কমেছে। আগে ব্রয়লার মুরগির দাম চেয়েছে ১৭০ বা ৮০ করে আজকে ১৫০ টাকা করে চাচ্ছে।
তবে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার। বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে রুই-কাতল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া সহ প্রায় সব ধরনের মাছ। বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির পর মাংসের প্রতি মানুষের অনীহা থেকে মাছের চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে ঈদের কারণে জোগান কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে মাছের।
বিক্রতারা জানান, আজকে মাছের বাজারে কেজিতে ২০ টাকা করে বেশি যাচ্ছে। ঈদের আগে যেই মাছ বিক্রি করেছি ৫০০ টাকায়, সেই মাছ এখন কিনতে হছে ৫০০ টাকায়। আর বিক্রি করতে হচ্ছে ৫৫০ টাকায়।
আর ক্রেতারা জানাচ্ছেন, ঈদের পর মাছের দাম অনেক বেশি। ঈদের আগে এত বেশি ছিলো না।
এদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। আর খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে কেজি প্রতি ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকায়।