চীনা পণ্যের প্রভাবে ব্যবসা নেই কামারপল্লীর

লোকসানে সাভার কামারপল্লী
অর্থনীতি
দেশে এখন
0

কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও বিদেশি ছুরি-কাচিতে সয়লাব বাজার, চাকচিক্য পণ্যে ক্রেতা আগ্রহ বাড়ায় কমেছে দেশিয় লোহার তৈরি পণ্যের চাহিদা, লোকসানে সাভার কামারপল্লী।

খিতীশ চন্দ্র দাস। বংশপরম্পরায় ধরে রেখেছেন কামারের পেশা। তবে এখন এ পেশার রোজগারে সংসার চলাই যেন দায়। দোকান খুলে সারাদিন বসে থাকলেও কাজের অর্ডার আসে না। তাই কাটাতে হয় অলস সময়। খিতীশ চন্দ্র একাই নন, এ পেশায় জড়িত প্রায় সবার অবস্থাই পেশা ছাড়ার মত।

খিতীশ জানালেন, 'রেডিমেড পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করায় কমে গেছে ব্যস্ততা।'

প্রাচীনকাল থেকে কামারদের তৈরি দা, বটি, চাকুসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি ও কৃষি যন্ত্রপাতির ওপরই নির্ভর করতে হতো। দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশীয় এসব লৌহজাত পণ্যের মান ছিল ভালোই। তবে কালের বিবর্তনে কামারদের তৈরি লোহার পণ্যের জায়গা দখলে নিয়েছে ভিনদেশি পণ্য। এতে ছুরি-কাচি উৎপাদন কমেছে এই কামারপল্লীতে। শিল্পে জড়িতদের দিন কাটছে অর্থকষ্টে। অনেকেই বিকল্প পেশায় ঝুঁকছেন।

স্থানীয় কামাররা জানান, লোহার পণ্যের মান ভালো হলেও চায়নার পণ্য দেখতে আকর্ষণীয়, দামেও কম। তাই ক্রেতারা ঝুঁকছেন বিদেশি পণ্যের দিকে।

এ শিল্পে লোহা, কয়লাসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম বাড়ায় কামারদের তৈরি পণ্যের মূল্য বাড়াতে হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বিক্রির ওপরও। এছাড়া দেশি এসব পণ্যের চেয়ে বিদেশি পণ্য সহজলভ্য এবং দাম কিছুটা কম হওয়ায় চাহিদাও বেশি। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন দেশের আদি এ শিল্পকে বাঁচাতে দরকার যথাযথ পদক্ষেপের।

সাভার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওবায়দুর রহমান অভির সাথে কথা বলে জানা গেছে, 'সাভার বাজারে আগে অনেক কামার শিল্প ছিল। এখন সেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। সরকারের কাছে ঐতিহ্যবাহী এই কামার শিল্প বাঁচিয়ে রাখার জন্য আহ্বান কামারপল্লীর ব্যবসায়ীদের।

দেশের ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে বাঁচাতে বিদেশি লৌহজাত পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ জরুরি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

সেজু