আজ (বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ) রাজধানীর ওয়াইডব্লিউসিএ বাংলাদেশ ট্রেনিং সেন্টারে ভয়েসেস ফর ইন্টারেক্টিভ চয়েস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট (ভয়েস) বিভিন্ন নাগরিক সমাজ সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের নিয়ে এই আয়োজন করে।
আলোচনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শাসনামলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের প্রান্তিকীকরণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি শৈশব থেকেই সামাজিকভাবে বঞ্চিত গোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন স্পার্কের জেন্ডার লিড ডালিয়া চাকমা, বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক উদিসা ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শারমিন উর নাহার, এবং নাগরিক উদ্যোগের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাদীরা পারভীনসহ আরও অনেকে। তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক দায়িত্ব সংক্রান্ত পাঠ সংযোজনের আহ্বান জানান।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিক, এনজিও, সিএসও, ডিজিটাল অধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার রক্ষাকারীদের একত্রিত হতে হবে, তথ্য আদান প্রদান করতে হবে, সফল কৌশল তুলে ধরতে হবে, এবং ডিজইনফরমেশন প্রতিরোধ এবং বাক স্বাধীনতা রক্ষা করার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে হবে।’
ভয়েসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রমিতি প্রভা চৌধুরী সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা এবং জেন্ডার ডিজইনফরমেশনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা উপস্থাপন করে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় উভয় পক্ষ থেকে বাকস্বাধীনতা হুমকির মুখে, তা রক্ষা করতে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন। বিভিন্ন অংশীদাররা একত্রিত হলে অনলাইনে এবং অফলাইনে বাকস্বাধীনতা এবং জেন্ডার সমতা রক্ষা করতে সক্ষম হবেন।’
বক্তারা উল্লেখ করেন, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বর্তমানে সমাজে বিদ্যমান বিভেদকে আরও তীব্র করার চেষ্টা করছে, যা মোকাবিলায় শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও কাউকে ক্ষতি না করার (ডু নট হার্ম) নীতির শিক্ষা প্রয়োজন। অংশগ্রহণকারীরা বিদ্যালয়ভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানান, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, লিঙ্গভিত্তিক বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রতিরোধ এবং সকলের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল ও নাগরিক পরিসর নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।