‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধাবস্থা স্বাভাবিক না হলে প্রত্যাবাসনের আশা নেই’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
দেশে এখন
0

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধাবস্থা স্বাভাবিক না হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশা নেই। যদিও এই সংঘাতকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুযোগ মনে করেন তিনি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনা চালাচ্ছে, তখনও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে বন্ধ করা যায়নি অনুপ্রবেশ। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ জন রোহিঙ্গা ঢুকছে বাংলাদেশে। সবমিলিয়ে নতুন প্রবেশের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আজ (রোববার, ৪ মে) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন : আঞ্চলিক নিরাপত্তার উপর প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজিত হয়। সেখানে বক্তব্যে এসব কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আমরা জোর করে পাঠাতে পারি না। তারা নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়েই ফেরত যাবে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধাবস্থা স্বাভাবিক না হলে প্রত্যাবাসনের আশা নেই। তবে আমরা তাদের ফেরাতে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাবো।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খান তুলে ধরেন, গত ১৬ বছরে রাখাইনে কীভাবে আরাকান আর্মি প্রভাব বিস্তার করেছে এবং কোন প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত হতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংকট।’

প্রবন্ধে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের রোডম্যাপও তুলে ধরেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক। বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরাকানে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করতে হবে বাংলাদেশকে।’ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতীয় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনের মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বহুপাক্ষিক কৌশলগত যোগাযোগেরও পরামর্শ তার।

সবশেষে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান। তিনি সাফ জানান, মানবিক করিডোর নিয়ে কারো সঙ্গেই কোনো চুক্তি হয়নি।

বাংলাদেশ যখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, তখনই ভারত প্রোপাগাণ্ডা চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করে, দেশটিকে অস্থিতিশীল করার কোনো ইচ্ছা বাংলাদেশের নেই বলেও জানান ড. খলিল।

এসএইচ